রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্কঃ ২০১৮ সালে আর কোনো ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। দেশের মাটিতে আগামী দশ মাসেও কোনো খেলা নেই টাইগারদের। আগামী বছর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। একই মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে আফগানিস্তানেরও। যদিও কোনোটিরই চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে এ বছর নিজেদের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। এখন অপেক্ষা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। ৫ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে বিপিএলের ষষ্ঠ আসর। এরপর বাংলাদেশ উড়াল দেবে নিউজিল্যান্ডে।
নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডে আর তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নেপিয়ারে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরপর ১৬ এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে। হ্যামিলটনে ২৮ ফেব্রুয়ারি তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। সিরিজের বাকি দুটি টেস্ট হবে ওয়েলিংটন (৮ মার্চ) এবং ক্রাইস্টচার্চে (১৬ মার্চ)।
এপ্রিলে বাংলাদেশের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। মে মাসে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তামিম-মুশফিক-সাকিবরা। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের সঙ্গী হবে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭ মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম ম্যাচ। এরপর ৯ মে আয়ারল্যান্ড, ১৩ মে উইন্ডিজ এবং ১৫ মে আইরিশদের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এরপরই উড়াল দিতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞে অংশ নিতে।
৩০ মে ইংল্যান্ডের মাটিতে বসতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। প্রথমদিন উদ্বোধনী ম্যাচে নামবে স্বাগতিক ইংলিশরা, তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ওভালে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ৫ জুন একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ৮ জুন টাইগারদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ইংল্যান্ড, ম্যাচটি হবে কার্ডিফে। ১১ জুন নিজেদের পরের ম্যাচে ব্রিস্টলে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ১৭ জুন টাইনটনে উইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে তামিম-সাকিবরা।
২০ জুন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, ম্যাচটি হবে নটিংহ্যামে। ২৪ জুন সাউদাম্পটনে টাইগারদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে আফগানিস্তান। ২ জুলাই বার্মিংহ্যামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। আর ৫ জুলাই এশিয়ার পরাশক্তি পাকিস্তানের বিপক্ষে লর্ডসে মাঠে নামবে এশিয়া কাপের বর্তমান রানার্সআপ টাইগাররা। ১৪ জুলাই লর্ডসে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
আগস্টে বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ থাকছে না। সেপ্টেম্বরেও নেই টাইগারদের কোনো ম্যাচ। বিরতি দীর্ঘ হওয়ায় অক্টোবরেও নেই লাল-সবুজদের কোনো ম্যাচ। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান অনুযায়ী এই তিন মাসে কোনো ম্যাচ খেলা হচ্ছে না। তবে, দ্বিপাক্ষিক কিংবা ত্রিদেশীয় কোনো নতুন সিরিজ আয়োজনের ইচ্ছে থাকলে নিজ নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ড চুক্তি করতে পারে। তাতে বাংলাদেশকেও বসে থাকতে হবে না।
আগামী নভেম্বরে দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ভারত সফরের পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। যদিও আইসিসির সূচি অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৩টি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঘোষিত নতুন এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্ল্যান) অনুযায়ী বাংলাদেশের টেস্টের সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৩৫টি। ওই পাঁচ বছরে বাংলাদেশ খেলবে ৪৫টি ওয়ানডে আর ৪২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তারপরও সার্বিক দিক বিবেচনা করে বলা যায়, আইসসির এই ট্যুর প্রোগ্রাম বড় দলগুলোকে অনেক বেশি সুযোগ দিচ্ছে আর দুর্বল দলগুলোর জন্য সেটি একটা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।